থাকবে।
এই মহাকাশযানটির নাম চ্যাং’ই ৪, এবং তা চাঁদের পৃষ্ঠে পাঠানো হবে ২০১৮ সালে। এই মিশনে একটি রোভারও দেওয়া যেমনটা দেওয়া হয়েছিল ২০১৩ সালের চ্যাং’ই ৩ মিশনের সাথে।
এই পরীক্ষার কথা চীন জানায় বেইজিং এর গ্লোবাল স্পেস এক্সপ্লোরেশন কনফারেন্সে (GLEX 2017)। এই মিশনের বাস্তসংস্থানটি হবে একটি ১৮ বা ১৬ সেন্টিমিটারের ছোট সিলিন্ডার।
আলুর বীজের পাশাপাশি চীন এই বাস্তসংস্থানের ভেতর রেশমপোকার গুটিও পাঠাতে চায়। ২৮টি চাইনিজ ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা মিলে এই মিশনের যন্ত্রপাতি ঠিক করছেন।
“এই গুটিগুলো ফুটে রেশমপোকা বের হবে, তারা কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপাদন করবে, আর আলু এবং বীজ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে অক্সিজেন তৈরি করবে,” বলেন এই সিলিন্ডারের চিফ ডিজাইনার ঝ্যাং ইউয়ানজুন। “তারা একসাথে মিলে চাঁদে সরল একটি বাস্তসংস্থান তৈরি করবে।”
চাঁদের তাপমাত্রা অনেক বেশি ওঠানামা করে -১৭০ ডিগ্রী এবং ১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মাঝে। এ কারণে এই বাস্তসংস্থান থাকবে কিছু ইনসুলেটিং ম্যাটেরিয়ালের ভেতরে যা এই পোকা এবং গাছকে স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রাখে। এছাড়াও ব্যাটারি চালিত আলো থাকবে এর ভেতরে।
পুরো প্রক্রিয়াটি লাইভ স্ট্রিম করবে চীন। তাই ২০১৮ সালে চাঁদের বুকে গাছ ও পোকাদের বেড়ে ওঠার এই প্রক্রিয়াটি আপনিও দেখতে পাবেন। এ ধরণের কাজ অন্য কেউ করেনি এর আগে। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (ISS) এ বেশকিছু গাছ জন্মানো হয়েছে, কিন্তু অন্য কোথাও নয়। চীনের এই পরীক্ষা সফল হলে এমন পরীক্ষা আরো করা হতে পারে।
এই বছরের মার্চে গবেষকেরা প্রমাণ করেন যে মঙ্গলের মাটির মতো মিডিয়ামে আলু চাষ করা যায়। আলু এমন একটি কষ্টসহিষ্ণু ফসল যা খুব কঠিন পরিস্থিতিতেও টিকে থাকে।  চ্যাং’ই ৪ ঠিক চাঁদের মাটিতেই চাষ করবে না, কিন্তু তারপরও এটা বেশ দরকারি একটি পরীক্ষা হতে যাচ্ছে।
সূত্রআই এফ এল সায়েন্স